এবার ইচ্ছা ছিল, বিশ্বকাপজয়ী পুরো দল নিয়ে তারা বাংলাদেশে আসবেন জুনে। কিন্তু সে ব্যবস্থা করতে পারেনি বাফুফে। তাতে অবশ্য মানসপটে লালিত বাংলাদেশের ছবিটি ফিকে হয়ে যায়নি এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। প্রথমবারের মত বাংলাদেশ সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাজপাখি খ্যাত সেই মার্টিনেজ।
এদিকে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজকে কলকাতায় আনার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন ভারতীয় ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। পরে মার্টিনেজেই ঢাকা সফরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। শতদ্রু দত্ত তখন জানান, তিনি মার্টিনেজের সঙ্গে কেবল ভারতে আসার বিষয়ে কথা বলেছিলাম। তবে এমি নিজে থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
কলকাতা থেকে ঢাকা কতদূরে এসব খোঁজ-খবর নেন। প্রয়োজনীয় স্পন্সর খুঁজে তার বাংলাদেশে আসার বিষয়টি দেখভাল করার অনুরোধ করেন। তবে এ বিষয়ে সর্বশেষ যে অগ্রগতি, তাতে কিছুটা দুঃসংবাদই পেতে পারেন এমি ভক্তরা। এমিকে নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার শতদ্রু দত্ত মার্টিনেজের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কাজ করতে সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন।
বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। আগের পরিকল্পনায় ছিল, কলকাতা যাওয়ার আগে মার্টিনেজ ৩ জুলাই সকালে ঢাকায় নামবেন। তবে সেই পরিকল্পনা থেকে কিছুটা পিছু হটছেন শতদ্রু, 'আমরা এখন সংক্ষিপ্ত সফর নিয়ে ভাবছি। সেটা হয়তো দুপুরের দিকে নেমে বিকেলে একটা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে রাতে আবার কলকাতায় পৌছানো।'
এদিকে মার্টিনেজের ঢাকা সফর সংক্ষিপ্ত করার প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের পেমেন্ট প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ প্রেরণ এখন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। মার্টিনেজ বাংলাদেশে বেশি সময় থাকলে ব্যয়ও তত বাড়বে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রাও অনেক বেশি লাগবে। তাই এমিকে নিয়ে স্বল্প খরচের মধ্যে একটি অতি সৌজন্যতামূলক সংক্ষিপ্ত সফরের পরিকল্পনা চলছে।